পূর্ব বর্ধমান : ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তিকে বাবা, মা দেখিয়ে জাতিগত সংস্থাপত্র ও ভোটার কার্ডে নাম তোলার অভিযোগ হাট কালনা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডল-এর বিরুদ্ধে। একই সাথে তৃণমূল নেতা তথা প্রধানের স্বামী বনমালী মণ্ডল-এর বিরুদ্ধে সোহাগী মণ্ডল, সুমন মণ্ডল, জয় মণ্ডল এবং শ্যামল মণ্ডল নামের এই চারজনের জন্য এনামুরেশন ফর্ম নেওয়ার অভিযোগ, যারা নাকি সকলেই বাংলাদেশী! এমনই অভিযোগ নিয়ে বিজেপির তরফে মঙ্গলবার কালনা মহকুমা শাসকের দপ্তরে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ডেপুটেশন দেন তারা।
কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপি জেলা সভানেত্রী স্মৃতিকণা বসু-র দাবি উনি ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, উনার জাতিগত সংসাপত্র, এবং ভোটার কার্ডটি তিনি ভুয়ো নথি দিয়ে বানিয়েছেন। তার সঠিক তথ্য সামনে আনার দাবি নিয়ে তিনি এসডিও দ্বারস্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা ধনঞ্জয় হালদারের দাবি ভুয়ো তথ্য সামনে দিয়ে তিনি প্রধান হয়েছেন। এখনো এনামুরেশন ফর্মও তিনি জমা করতে পারেননি।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাটকালনা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনারা আগে প্রমাণ করুক আমার ডকুমেন্টসগুলো ভুয়ো। তারপর আমি সব প্রমাণ দেবো।
বনমালী মণ্ডল তিনি বলেন, যাদের ফর্ম নিয়েছি তাদের মধ্যে দুজন আমার আত্মীয় আর দুজন প্রতিবেশী তারা বাড়িতে ছিল না বলে সেগুলি নিয়েছি। পাশাপাশি তারা সকলেই বাংলাদেশের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন তারা প্রমাণ করুক তারা বাংলাদেশী তারপর দেখা যাবে। যদিও যাদেরকে নিয়ে এত গন্ডগোল অর্থাৎ শ্রাবন্তী মণ্ডল-এর মা বিষ্ণুপ্রিয়া ব্যাপারী এবং তার বাবা সচিন ব্যাপারী মঙ্গলবার কালনার মুক্তারপুর এলাকায় তাদের বাড়ির কাছে তাদের দেখা মেলেনি, আত্মীয়র অসুস্থতার কারণে কেউই তারা বাড়িতে ছিলেন না। স্বভাবতই SIR আবহে প্রধান বাংলাদেশী এমনই অভিযোগ উঠাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

