পূর্ব বর্ধমান : বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিরোধীরা আইপ্যাককে কাঠগড়ায় তুললো।বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের অভিযোগ ডাটা এন্ট্রিতেই আসল গলদ লুকিয়ে আছে। বুধবার পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসকের দফতরে সর্বদল বৈঠক করেন রাজ্যের এসআইআর-এর বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। বৈঠক শেষে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের দাবি, “কারা ডাটা এন্ট্রি করছে, কারা এই কাজে যুক্ত আছে গোটাটাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তাদের আরও দাবি, ডাটা এন্ট্রি প্রক্রিয়াকে প্রকাশ্যে এবং সামনে আনা হোক। যাতে আমরাও জানতে পারি প্রতিদিন কত এন্ট্রি হচ্ছে।”
বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “শাসকদলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাকে দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে তিনি আগে অভিযোগ করেছেন। সুতরাং স্বচ্ছ এস আই আর নিয়ে তাদের সংশয় আছে। তিনি আরও বলেন, তাদের দলের বিএলও-২ বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায় আক্রান্ত হয়। প্রশাসনকে সেই বিষয়ে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করি। সিপিএমের অপূর্ব চ্যাটার্জি বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সুতরাং, বিএলও-রা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে পারবে না এই নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। বিএলও-রা কার্যতঃ শাসকদলের পদানত হয়ে কাজ করছে। কখনও তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে কখনো তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব ঘর থেকে এসআইআর-এর ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়া হচ্ছে। সেই ছবি আমরা জেলাশাসককেও পাঠিয়েছিলাম। কোথাও কোথাও জেলাশাসক ব্যবস্থা নিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসন নবান্নের হুমকির ভয়ে বা রোষানলে পরতে হবে সেজন্য অভিযোগ এড়িয়ে গেছে।”
অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, “তারা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম এস আই আরের কাজ এত অল্প সময়ে করা সম্ভব নয়। প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে সময় বাড়িয়েছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি,বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তৎপর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তারা নিরপেক্ষ নয়।”

