পূর্ব বর্ধমান : স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সেরা পশ্চিমবঙ্গ—এমনই দাবি বারবার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বাস্তব চিত্র যেন ভিন্নই কথা বলছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে দেখা গেল এক চাঞ্চল্যকর দৃশ্য। একজন নার্সকেই সামলাতে হচ্ছে শতাধিক রোগীর দায়িত্ব।
রবিবার হঠাৎ হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে সমস্যার আঁচ পান স্থানীয় বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়-স্বজন বিধায়কের সামনেই অভিযোগ জানান, পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় চিকিৎসা পরিষেবা ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতালের নার্সরাও মুখ খুলে জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বহু পদ শূন্য পড়ে আছে। একজন কর্মরত নার্সের ক্ষোভভরা কন্ঠে উঠে আসে, “এখানে ১০৭ জন রোগীর দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে একজনকেই। এভাবে পরিষেবা দেওয়া কতটা সম্ভব?”
প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে শতাধিক রোগী ভরসা করে চিকিৎসার জন্য আসেন মেমারি হাসপাতালে। বেডের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি রোগীর চাপও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু নার্স নিয়োগ না হওয়ায় পরিষেবার মান ভয়াবহভাবে নেমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিন বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য আশ্বাস দেন, বিষয়টি তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরে জানাবেন।
অন্যদিকে, বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা মৃত্যঞ্জয় চন্দ্র কটাক্ষ করে বলেন, “শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের হালও বেহাল। এই ঘটনা তার প্রমাণ।” তবে তৃণমূল নেতা দেবু টুডু পাল্টা মন্তব্য করে জানান, “নার্সের সংখ্যা হয়তো কম। তবে একেবারে নেই, এটা সঠিক নয়। পূর্ব বর্ধমানের কোথাও নার্সশূন্য হাসপাতাল নেই।”

