পূর্ব বর্ধমান : বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চেও ফের সামনে এল তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল। দলীয় নিয়ম না মেনে এক তৃণমূল নেতা ও পাঁচ কর্মীকে বহিষ্কার করায় এবার শোকজের মুখে পড়তে হল খোদ ব্লক সভাপতিকেই।
আরও পড়ুন : পুজো মিটতেই ফের শাসকদলে অশান্তি! বহিষ্কার বর্ধমানের তৃণমূল নেতা
গত ৩ অক্টোবর সাংবাদিক সম্মেলন করে বর্ধমান দু’নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পরমেশ্বর কোনার ঘোষণা করেন, “বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব ব্যানার্জি সহ পাঁচজন দলের প্রথমসারির কর্মীকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। অভিযোগ, জয়দেব ব্যানার্জি ও অন্যান্যরা দলের শৃঙ্খলা ভেঙেছেন, দলীয় কাজে অংশ নিচ্ছেন না, বরং দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। তাই ব্লক কমিটির সিদ্ধান্তে তাঁদের তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।” বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন জয়দেব ব্যানার্জি, লবকুমার দাস, সভ্যসাচী চৌধুরী, তুষার সামন্ত, অম্বিকা দাস ও জরু আলম। ব্লক সভাপতির দাবি, এঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
তবে এবার সেই ব্লক সভাপতিকেই শোকজ করল দল। রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে মনোমালিন্য হয়, কঠোর সিদ্ধান্তও নিতে হয়। কিন্তু বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত জেলা ও রাজ্যের অনুমতি ছাড়া নেওয়া যায় না। একজন ব্লক সভাপতি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছেন— এটা ঠিক হয়নি। রাজ্য নেতৃত্ব সেই সভাপতিকে শোকজ করতে বলেছে, আমরা তা করেছি। তাঁর জবাবের পরেই সিদ্ধান্ত হবে।”
আরও পড়ুন : পুজো মিটতেই ফের শাসকদলে অশান্তি! বহিষ্কার বর্ধমানের তৃণমূল নেতা
নিজের শোকজ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পরমেশ্বর কোনার। তার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “আমি শোকজের জবাব দলকে দিয়েছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি মেনে নেব।”
অন্যদিকে, এই বিষয়ে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক মন্তব্য করতে অনিচ্ছুক।

