পূর্ব বর্ধমান : মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের কার্জনগেট ও কোর্ট কম্পাউণ্ড চত্বরে সহ আশেপাশে দেখা যায় বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা-র ছবি সম্বলিত পোস্টার। তাতে লেখা, “বামপন্থী হার্মাদ সাংগঠনিক জেলা বাঁচাও! বিগত পাঁচ বছরে, পঞ্চায়েত শূন্য, জেলা পরিষদ শূন্য, পৌরসভা শূন্য, বিধানসভা শূন্য, লোকসভা শূন্য।” নিচে লেখা, “আদি বিজেপি কার্য্যকর্তাবৃন্দ, বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলা।”
এই পোস্টার ঘিরে স্বভাবতই জল্পনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল এই ঘটনার মাধ্যমে। যদিও জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। যদিও এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুপুরের মধ্যেই কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা এসে সেই পোস্টটাগুলি দ্রুত খুলে দেয়।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র সৌম্যরূপ ব্যানার্জী বলেন, “রাজনীতিতে এধরনের পোস্টার নতুন কিছু নয়। অতীতেও বহুবার এমন ঘটেছে। বিজেপি কখনোই পোস্টারের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আর যদি বিজেপির কেউ করত, তাহলে তা সরানো হতো না।”
তিনি আরও বলেন, “আদি-নব্য বলে বিজেপিতে কোনো বিভাজন নেই। আজকের সদস্য হোন বা ৩০ বছরের পুরনো, প্রত্যেকে বিজেপির অংশ। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতেই বিজেপির মধ্যে বিভাজনের মিথ্যা প্রচার করছে। ২০২৬-এ রাজ্যে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত।”
বিজেপির মুখপাত্রের দাবি, জেলা সভাপতি সকল কার্যকর্তার অভিভাবক। তাঁর নামে যদি কেউ বাইরে থেকে এমন পোস্টার দেয়, বিজেপি কর্মীদের সেটি খুলে ফেলা একেবারেই স্বাভাবিক। মানুষের সাথে সংযোগ হারিয়ে ২৬ এর ভোটের আগে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে,মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে তৃণমূল এই পোষ্টার মেরেছে।
পাল্টা তৃণমূলের অন্যতম জেলা সাধারণ সম্পাদক বাগবুল ইসলাম জানান, এটা বিজেপির ভাগবাটোয়ার লড়াই।এর আগেও তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাঙচুর করেছে।তৃণমূল ছাব্বিশের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত,এই সব নিয়ে ভাবনার অবকাশ আমাদের নেই,মানুষ আমাদের সাথেই আছে বিজেপিকে সেটা আবারও একবার শিক্ষা দিতে আমরা তৈরি।
যদিও এখনও স্পষ্ট নয়, কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে।

