পূর্ব বর্ধমান : বিষধর সাপসহ তিন সাপুড়েকে হাতেনাতে ধরল RPF। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান রেলস্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে সন্দেহজনকভাবে বসে থাকা তিনজনকে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে RPF। তল্লাশি চালাতেই তাদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি জীবিত বিষধর সাপ। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্টেশনজুড়ে। খবর পেয়ে বর্ধমান বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ধৃত সাপুড়েদের থেকে ৩ তিনটি সাপ (কেউটে, চন্দ্রবোড়া, বালিবোড়া) উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
তবে কী উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং এর পেছনে কোনও পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর। ধৃত ৩ সাপুড়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে RPF। ধৃতরা মনোহর মাল, সেলিম মাল ও গোপি মাল তিনজনই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা নিমো মালপাড়ার বাসিন্দা।
সোমবার ধৃত তিনজনকেই বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্ধমান বনদপ্তরের রেঞ্জার অনির্বাণ মিত্র জানান, “এই সাপগুলি থেকে বিষ সংগ্রহ করে বাজারে বেআইনিভাবে বিক্রির কোনও চেষ্টা করা হচ্ছিল কি না তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের পেছনে আর কারা রয়েছে, সাপের বিষ কোথায় বিক্রি হয় তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর।”
তবে ধৃত গোপি মাল দাবি করেছেন, “তাঁরা সাপের খেলা দেখায় এবং তাবিজ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। খেলা দেখিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ই তাদেরকে বর্ধমান স্টেশনে আটক করা হয়েছে। তারা বিষধর সাপের বিষ দাঁত ভেঙে তারপরেই তাঁরা খেলা দেখায়। তবে সাপের বিষ আমরা বিক্রি করি না।”
সম্প্রতি, মেমারির নিমো মালপাড়া থেকে প্রায় শতাধিক বাসিন্দা তাঁরা বর্ধমান বনবিভাগে এসে স্মারকলিপি জমা করেন। তাদের দাবি ছিল, সাপ খেলা দেখিয়ে রুজি-রোজগারের জন্য তাদের বৈধ অনুমতি দিতে হবে। সূত্রের খবর, এই স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে যারা উপস্থিত ছিলেন এদিন RPF-এর হাতে ধরা পড়া ধৃত ৩ জনকেও দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ।

