গণবন্ধু : বেহাল রাস্তা ঘিরে ক্ষোভের পারদ চড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের আমশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার হাল না ফেরায় উন্নয়ন চাইলেই শাসক দলের কিছু নেতা কটাক্ষ করেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছ, এতএব চুপ থাকো!”
এদিন ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্প চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের আবেদন করেন তারা। বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিন্ময় সাহা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ রাস্তা এখনও কাঁচা, বহু সেতু চলাচলের অযোগ্য। বছরের পর বছর ধরে আবেদন করেও কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি।
তাঁদের আরও অভিযোগ, গড়বেতা ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিন্ময় সাহা এই আমশোল অঞ্চল থেকেই নির্বাচিত, তাঁর এখানেই আদি বাড়ি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান টানা ১০ বছর ধরে জিতছেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতিও এই ব্লক থেকেই। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের বাড়ি বলরামপুর থেকে হাতের নাগালেই। তাই আমাদের বুকে একটু আশার আলো সঞ্চার হয়েছিল যে আমাদের এলাকায় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজে আমরা সমস্ত স্তর থেকে সহযোগিতা পাব। কিন্তু, আমাদের আশা স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন তারা। এলাকায় উন্নয়ন তো দূর রাস্তা চাইলে শুনতে হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছো এতএব চুপ থাকো। এলাকায় চওড়া রাস্তা চলাচলের যোগ্য চওড়া সেতু নির্মাণ না হলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ মতো জনপ্রতিনিধিদের জন্যে যদি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা কমে আসে তাহলে তাদের পদত্যাগ করা উচিত বলছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ, এই আবহেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।

